আইওটি (IOT)
The Internet of Things (IOT) হচ্ছে নতুন কনসেপ্ট বা ধারণা যেটার ভিত্তি হলো দুটি ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ। যে সংযোগে, কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক খুব দ্রুত এবং পূর্ণ কার্যকর। প্রাথমিকভাবে এটা তথ্য সংগ্রহ প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে যেমন সংযুক্ত থাকা দুটি ডিভাইসের মধ্যে রিয়েল টাইম কমিউনিকেশন এর জন্য সেন্সর এবং কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক।
আইওটি (IOT) এর অধীনে থাকা নেটওয়ার্কগুলোকে ধন্যবাদ। কারণ , এর ফলে উচ্চ মানের আন্তঃসংযোগ অর্জিত হয়েছে। এবং এর ফলে সব ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেন্সরগুলোর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়, আর এর ফলে রিয়েল টাইম মনিটরিং, সময় এবং স্থানের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে খাপ খাওয়ানো যায় এবং এর পাশাপশি সেন্সরগুলোর সাহায্যে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সাড়া প্রদান করে থাকে। এছাড়াও, সংগ্রহ করা এই সমস্ত তথ্য বড় ডাটা বা তথ্য এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যালগরিদম সংরক্ষণ, শেখার সক্ষমতা এবং ভবিষ্যতের চিত্র অনুমান করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মানুষ, উপাদান, এবং বস্তুর মধ্যে বিশাল পরিমাণ তথ্য বা ডাটার প্রবাহ নিশ্চিত করে থাকে আইওটি এর (IOT) হাইপারকানেকটিভিটি। এর ফলে, প্রায় সব ধরনের ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন সম্ভব হওয়ার মাধ্যমে শহরগুলো স্মার্ট শহরে রূপান্তিত হয়।
বহুক্ষেত্রে এর প্রয়োগ আছে: শহরের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত ভেরিয়েবল যেমন, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, সৌর বিকিরণ, বৃষ্টিপাত, শব্দ, বাতাস এবং পানির দূষণের মাত্রা, পানির পিএইচ ঈত্যাদি বিষয় এবং পথচারি ও গাড়ি সংক্রান্ত ভেরিয়েবল, যেগুলো ট্রাফিক এবং মোবিলিটি বা গতিশীলতা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেগুলোও স্বয়ংক্রিয়, ধারাবাহিক, এবং রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষিত যা বিবেচনা করা হয় তা হলো, নিরাপত্তা। এটা শুধুমাত্র কৌশলগত স্থানগুলোতে ক্যামেরা স্থাপন করে নিয়মিত মনিটরিং করা নয়, বরং এটা হলো নির্দিষ্ট মানুষ এবং যানবাহনের বৈশিষ্ট্য বা প্যাট্যার্ন বুঝতে পারা।
আইওটি (IOT) এর প্রয়োগের ক্ষেত্র অনেক বড় এবং এটা শুধু শহরের বিষয়ে দৃষ্টি নিবন্ধ রাখে না। কৃষি, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং নির্দিষ্ট ক্ষেত্র যেমন, এর থেকে স্বাস্থ্যসুবিধা পাওয়া যায়, কাজের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়তা তৈরি করতে অবদান রাখে।