প্রযুক্তি

মানুষের যোগাযোগ এবং চলাচলের প্রয়োজনের সরাসরি ফলাফল হলো এই স্মার্ট শহরগুলো। প্রযুক্তির

উন্নয়ন এর লক্ষ্য পরিবর্তন হয়েছে। উৎপাদন খরচ কমিয়ে লাভ বাড়ানো এখন আর প্রযুক্তির লক্ষ্য নয়। এখন প্রযুক্তির লক্ষ্য হচ্ছে, মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে মানুষ এবং প্রকৃতিক সম্পদ দুটোই রক্ষা করা সম্ভব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের কল্যাণের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে মানুষ এবং প্রকৃতিক সম্পদ দুটোই রক্ষা করে থাকে। এটা পৃথিবীর সব দেশে বহু দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার হচ্ছে তা বোঝার জন্য বড় প্রযুক্তিগত শহরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেমগুলো আরও উন্নত করা হচ্ছে যাতে করে নবায়নযোগ্য উৎসগুলো থেকে পাওয়া শক্তি আরও ভালোভাবে সঞ্চয় করা যায় এবং ক্রমবর্ধমান টেকসই উপাদানের সাহায্যে মানসম্মত ব্যবহার করা যায়।

গতিশীলতাকে আরও অনেক সহজ করে স্মার্ট সিটি। সেন্সর দ্বারা ডাটা সংগ্রহ এবং এর প্রয়োগকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। এর পাশাপাশি স্মার্ট সিটি, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট আরও উন্নত করার মাধ্যমে গতিশীলতাকে টেকসই করেছে। পথচারীদেরকে জন্য বিকল্প পদ্ধতি থাকছে এবং বাই-সাইকেলের মতো যানবাহন এর প্রচলন করা হচ্ছে যেটা থেকে গ্যাস নিঃসরণ হয় না।

স্ট্রিট লাইটিং বা সড়ক আলোকিত করা থেকে শুরু করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ,

গাড়ির জিপিএস সিস্টেম দ্বারা গাড়ির অবস্থান শণাক্ত করার মতো কাজগুলো করতে এবং শহরকে জীবন্ত করার জন্য বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে সংযোগ ঘটানোর জন্য হাইপারকানেকটিভিটি এবং internet of things কে যুক্ত করে থাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যাতে করে সিম্বায়োসিস (symbiosis) তৈরি করা যায়, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। কেনাকাটা, কাজ করা, অবসর সময় কাটানো সবকিছুই সংযুক্ত এবং ইউনিক অভিজ্ঞতা দেয়ার জন্য প্রত্যেকের প্রয়োজনের সঙ্গে খাপ খায়।

নতুন ইকোসিস্টেম এর দিকে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে আছে নবায়নযোগ্য শক্তি।

আমরা একটি ভিন্ন ধরনের শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি এবং সেজন্য সংযুক্ত পৃথিবীতে আলাদা জীবন অনুভব করছি। বিল্ডিং বা ভবনগুলো তাদের নিজের শক্তি নিজেই উৎপাদন করে এবং এমনভাবে ডিজাইন করা যাতে খুব কম সম্পদ ব্যবহার করে এবং ব্যবহারের সর্বোত্তম অভিজ্ঞতা দেয়। এখন নতুন নগরবাদের (urbanism) স্তম্ভ হলো- কার্যকারিতা, ডিজাইন, নিজের শক্তি নিজেই ব্যবহার ( energy self-consumption).

স্মার্ট শহরগুলোর মূল চালক হলো ফটোভোলটাইক এনার্জি

এটা অনিঃশেষ (inexhaustible), দূষণ ঘটায় না এবং নবায়নযোগ্য। এটা পাবলিক লাইটিং করতে পারে, পাওয়ার হোম এবং শহর অথবা শহরে আশেপাশে শিল্পকারখানায় শক্তি সরবরাহ করতে পারে। এই প্রযুক্তির অগ্রগতি ধারাবাহিক কারণ, সোলার প্যানেলগুলো নির্মাণ উপকরণ হিসেবে বিল্ডিং এর ছাদ, façade, ছাদের টাইলস হিসেবে আরও অধিক খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। IOT কে ধন্যবাদ, স্মার্ট বিল্ডিংয়ে সিস্টেম এর কার্যকারিতা এবং সম্পদের বন্টন পরিমাপ করা যায়।