Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the wordpress-seo domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/www/nextcitylabs/htdocs/global/wp-includes/functions.php on line 6114
ফটোভোলটাইক এনার্জি

ফটোভোলটাইক এনার্জি

বহুমুখীতা, কম খরচ, সহজলভ্যতা এবং পরিবেশগত দিকের কারণে সোলার ফটোভোলটাইক এনার্জি দ্রুত বিকাশমান একটি এনার্জি সেক্টর। নবায়নযোগ্য হওয়ার পাশাপাশি এটি কখনো শেষ হয় না (unlimited) এবং এটি দূষণ ঘটায় না।

বহুমুখীতা, খুব সহজ এবং কম খরচে ইন্সটল বা স্থাপন করা, এবং পরিবেশ-বান্ধব হওয়ার কারণে, ফটোভোলটাইক সোলার এনার্জি, অন্যতম দ্রুত বিকাশমান একটি এনার্জি সেক্টর। সৌর বিকিরণকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে এই শক্তি বা এনার্জি পাওয়া যায় । ফটোইলেক্ট্রটিক ইফেক্ট এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি প্রযুক্তি দ্বারা এটা করা হয়। নবায়নযোগ্য ছাড়াও এই প্রযুক্তি হচ্ছে অশেষ এবং দূষণ ঘটায় না। জেনারেটর এর সাহায্যে এই শক্তি বা এনার্জি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কম পরিমাণে যেমন উৎপাদন করা যায়, তেমনি ফটোভোলটাইক পার্কগুলোতে ব্যবহারের জন্য বিশাল পরিমাণেও উৎপাদন করা যায়।

ফটোভোলটাইক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদিত শক্তি বা এনার্জি দেয়া হয় গ্রিডে। এভাবে এটা টেকসই উন্নয়ন এবং বায়ু শক্তি উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। এবং এটা বাজারে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে লাভজনক। সৌর শক্তি বা সোলার এনার্জির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর অভিযোজন যোগ্যতা, যেমন, এটাকে যেকোন প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরি ও ইন্সটল/স্থাপন করা যায়, প্রয়োজনীয় মডিউল ইন্সটল/স্থাপন করা যায়। এর বহুমুখীতা এবং অভিযোজনযোগ্যতার কারণে এটি দৈনন্দিন কাজ এবং শিল্পকারখানা দুই জায়গাতেই ব্যবহার করা যায়।

প্রচলিতভাবে, ফটোভোলটাইক প্রযুক্তি সিলিকন এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়, এবং এই প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করেই এটি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও ছড়িয়ে পড়ছে। এটি কার্যক্ষমতা বাড়িয়েছে এবং খরচ কমিয়েছে।

সিলিকন ছাড়াও, আরও অন্যান্য প্রযুক্তি ইতোমধ্যে বিদ্যমান আছে এবং এগুলো ভবিষ্যতে শক্তি উৎপাদনের উন্নয়ন নির্ধারণ করবে: ক্যাডমিয়াম টেলুরাইড (TeCd) এবং পেরোভস্কিট। নতুন কেমিক্যাল এবং মেটেরিয়্যাল ইঞ্জিনিয়াররা ফটোভোলটাইক এর সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলেছেন এবং তাদের সেলগুলোর শোষণ ক্ষমতা আগের চেয়ে বেড়েছে।

বর্তমানে, আপনি দেখতে পাবেন যে, ছাদ, ভবনের সামনের অংশ অথবা বিশাল ওয়্যারহাউজের ছাদ এবং পার্কিং এর স্থানগুলো ফটোভোলটাইক সেল দ্বারা আবৃত। যাতে করে এই ফটোভোলটাইক সেলগুলোর সাহায্যে সৌর বিকিরণকে শক্তি বা এনার্জিতে রূপান্তর করে সেটা নিজেরা ব্যবহার করা যায় অথবা মূল গ্রিডে দেয়া যায়। এর ফলে বোঝা যায় যে, নবায়নযোগ্য শক্তির বাজারে সৌরশক্তি হচ্ছে নেতৃত্বদানকারী শক্তি। কারণ এটা শেষ হয় না এবং গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন করে না, এটা আগামী প্রজন্মের জন্য ফসিল ফুয়েলের আদর্শ বিকল্প।